Agnipath Scheme: অগ্নিপথ নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ, ৩৫টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকে নিষিদ্ধ কেন্দ্রের
Agnipath Protest: অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিহারে বিক্ষোভ সংগঠিত করার অভিযোগ কেন্দ্রের
নয়া দিল্লি: অগ্নিপথ (Agnipath) বিরোধিতার মাঝেই ৩৫টি হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) গ্রুপকে নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র (Center)। অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্প নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিহারে (Bihar) বিক্ষোভ সংগঠিত করার অভিযোগ কেন্দ্রের। সেই ভিত্তিতেই এই নিষেধাজ্ঞা বলে জানান হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সরকারের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়ানো এবং হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযোগে জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজও চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো এই অগ্নিপথ প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করার জন্য একটি ফ্যাক্ট চেক অপশনও দিয়েছে।
এদিকে, অগ্নিপথ-বিক্ষোভের জেরে উত্তরপ্রদেশে ব্যাপক ধরপাকড়। গ্রেফতার ৮২। বেশ কয়েকটি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুনের চেষ্টা, অশান্তি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে বিভিন্ন ভিডিয়ো ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। অন্যদিকে, অগ্নিপথ-বিরোধিতায় দিল্লির যন্তর মন্তরে কংগ্রেসের তরফেও প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলে। উপস্থিত ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, অধীর চৌধুরী। অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সনিয়া গান্ধীও।
আরও পড়ুন, '১০০ টাকা দিলে খবর হয়, কিন্তু ২০০ টাকা সঞ্চয়ের কথা বললে সমালোচনা হয়', অগ্নিপথ প্রসঙ্গে মোদি
যদিও ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প থেকে সরে আসার কোনও প্রশ্নই নেই। জানিয়ে দেওয়া হল সেনাবাহিনীর তরফে। অগ্নিবীর হতে গেলে মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে, কোনওরকম বিক্ষোভে জড়িত ছিলেন না। সেনাবাহিনী অবস্থানে অনড় থাকলেও, ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে ক্রমেই চড়ছে রাজনীতির পারদ।
অগ্নিপথ-বিক্ষোভে দেশজুড়ে অশান্তি ছড়িয়েছে। কোথাও ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোথাও স্টেশন, থানায় ভাঙচুর, কোথাও আবার পুলিশের ওপর হামলা। বিক্ষোভের চতুর্থ দিনে বিহারে গতকালও আগুন জ্বলেছে। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে রেল পরিষেবায়।